ঢাকা,বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে ৮৪২টন চাল ও ৪ কোটি ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা বরাদ্দ অর্থবছরে ৩১০ প্রকল্পের ৫০ শতাংশ কাজও শেষ না হওয়ার শংকা

oniyom durnitiনিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া :
জনদূর্ভোগ কমাতে গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে সরকার বিপুল বরাদ্দ দিলেও চকরিয়ায় থমকে আছে উন্নয়ন কর্মকান্ড। উপজেলা পরিষদ, উপজেলা প্রশাসন ও প্রকল্প কমিটি’র দূর্নীতি ও সমন্বয়হীনতার কারণে চলতি অর্থবছরে বরাদ্দের ৫০ শতাংশও কাজ না হওয়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সূত্র জানায়, খাল খনন, বাঁধ নির্মাণ, রাস্তাঘাট ও বিভিন্ন প্রতিষ্টান সংস্কারসহ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন করতে চলতি অর্থবছরে চকরিয়ায় বরাদ্দ দেয়া হয় কাবিখা ও টিআর খাতে ৩ কোটি ৫ লাখ ৯৪ হাজার ৭০ টাকা মূল্যের ৮৪২ মেট্রিক টন চাউল ও নগদ ৪ কোটি ৯ লাখ ৭৮ হাজার টাকা। এ বরাদ্দের বিনিময়ে ৩’শ ১০টি প্রকল্প বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়।  কিন্তু দূর্নীতিবাজ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও প্রশাসনিক সমন্বয়হীনতার কারণে অর্থ বছরের মাত্র এক মাস অবশিষ্ট থাকলেও প্রকল্প বাস্তবায়ন ৫০ শতাংশও হয়নি। এছাড়াও বিভিন্ন প্রকণ্প কাজের ভূয়া মাষ্টার রোল তৈরী করে রাতারাতি রবাদ্ধ নিয়ে সমুয় অর্থ আত্নসাৎ করার একাধিক অভিযোগ উঠেছে ।
সূত্র মতে, কাবিখা সাধারণ ২’শ ৪২টন চাউল দিয়ে ২৩টি প্রকল্প কাবিখা বিশেষ ২৩৬ টন চাউল দিয়ে ২১টি প্রকল্প, কাবিটা সাধারণ ৩২ লাখ ৪০ হাজার দিয়ে ১৭টি প্রকল্প বিশেষ ৫৮ লাখ টাকায় ৪টি প্রকল্প স্পেশাল ১ কোটি ৮৯ লাখ টাকায় ৬টি খাল-বাঁধ, টিআর সাধারণ ১৮২টন দিয়ে ৯১টি প্রকল্প, বিশেষ টিআর ২০০টন দিয়ে ৬৭টি প্রকল্প, সাধারণ খাতে ৫৩লাখ ৩৮ হাজার টাকায় ৯টি ও বিশেষ ৭৫ লাখ টাকায় ৭২টি প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পৃথক পৃথক প্রকল্প কমিটি গঠন করা হয়। এই প্রকল্পগুলোর মধ্যে হাতেগোনা কয়েকটি শেষ হলেও সিংহভাগই ৩০ থেকে ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। আবার এমন প্রকল্পও রয়েছে যেসব প্রকল্পের কাজও শুরু হয়নি। কিন্তু প্রথম কিস্থির টাকা তুলে নিয়েছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।  ফলে, অর্থ বছরের শেষ একমাস অর্থাৎ জুনের মধ্যে কাবিখা ও টিআর প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন হবে কিনা সংশয় দেখা দিয়েছে। কাজ না হলে ফেরৎ যাবে চাউল ও টাকা, সরকারের সদিচ্ছা থাকা সত্বেও উপকৃত হওয়া থেকে বঞ্চিত হবে জনগণ, উন্নয়নে পিছিয়ে পড়বে চকরিয়া।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো.আহসান উল্লাহ গতকাল ২৫ মে বলেন, মাত্র ৫০ শতাংশ কাজ হয়েছে। প্রকল্প শেষ করা নিয়ে বড় জ্বালায় আছি। এরপরও চেষ্টা করছি যতটুকু পারি জুনের মধ্যে কাজ শেষ করতে।
জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আলহাজ্ব জাফর আলম বলেন, এখন কাজ যতটুকুই হউক না কেন আগামী ১০-১২ দিনের মধ্যেই সকল প্রকল্পের কাজ অবশ্যই শেষ হবে। আমি নিজেই পাড়া-গাঁয়ে সরজমিন গিয়ে কাজ তদারকি করছি।

পাঠকের মতামত: